অনলাইন ডেস্ক: পাকিস্তানে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল। অবশেষে অন্ধকার ঘুচে আলোর দেখা পাওয়া গেল দেশটিতে। দেশটিতে প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর বিদ্যুতের দেখা মিলেছে। শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে ‘ব্ল্যাক আউটে’ ঢেকে যায় দেশটি। অনেক সময় অপেক্ষার পর স্থানীয় সময় রোববার (১০ জানুয়ারি) বৈদ্যুতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক গতিতে ফিরেছে বলে কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
পাকিস্তানে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বেশ জটিল ও সুক্ষ্ম। যার কারণে ২১ কোটির বেশি মানুষের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে। এর আগে দেশটির বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন ডেসপাচ কোম্পানির (এনটিডিসি) বিদ্যুৎসংযোগ ব্যবস্থায় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এই বিপর্যয় ঘটেছে।
ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎমন্ত্রী ওমর আইয়ুব খান বলেন, দেশের বেশিরভাগ স্থানেই প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ ছিল না। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় পাওয়ার প্লান্টও বন্ধ রাখতে হয়েছে।
বিদ্যুৎ না থাকায় দীর্ঘ সময় ধরে রাজধানী ইসলামাবাদ, করাচি, লাহোর, রাওয়ালপিণ্ডি, পেশোয়ার, মুলতান, কোয়েটা, ফয়সলাবাদ, মুজাফ্ফরগড়, ভাওয়ালপুর, বেলুচিস্তানসহ বড় বড় শহরগুলো অন্ধকারে ঢেকে যায়। জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও বিদ্যুৎ সঙ্কটের কারণে সেখানকার কার্যক্রম ব্যহত হয়েছে।
এনটিডিসি জানিয়েছে, সবগুলো ৫০০কেভি এবং ২০০কেভি গ্রিড স্টেশন ও ট্রান্সমিশন লাইন আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা শুরু করে দিয়েছে। পুরো পাকিস্তানজুড়েই বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে ২০১৫ সালেও ব্ল্যাক আউট হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। সেসময় রাজধানী ইসলামাবাদসহ দেশের ৮০ শতাংশ অঞ্চল অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল। ন্যাশনাল গ্রিড বসে যাওয়ার কারণেই ভয়ানক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল পুরো পাকিস্তানকে।