নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আলু-পটোলও যে অনলাইনে কেনা যায়, তা এই করোনাকাল শিখিয়ে দিল দেশের মানুষকে। অনলাইনভিত্তিক প্ল্যাটফর্মে নতুন নতুন ক্রেতা তৈরি হচ্ছে। আসছে নতুন বিনিয়োগ। করপোরেটরা জোর দিচ্ছেন অনলাইন কেনাকাটার ওপর।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে প্রায় অনেকেই অনলাইনের মাধ্যমে কাঁচাবাজার, ওষুধ পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য কিনছেন।
সব মিলিয়ে আগামী দিনগুলোতে সুসময় দেখছেন ড্রিমার্স আইটি ওয়ার্ল্ড, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এবি-বাজার ডট নেট ও ডক্টর বিডি অ্যাপের এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আতিকুল্লাহ আরিফ।
তিনি বলেন, ক্রেতাদের একটা বড় অংশের অনলাইনের মাধ্যমে পণ্য ক্রয় বিক্রয় করার অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু বর্তমানে করোনাকালে তাঁরা অনলাইনের মাধ্যমে কেউ পণ্য বিক্রি করছেন অন্য দিকে পণ্যটি খুব সহজেই কেউ না কেউ কিনছেন।
ফলে অভ্যস্ততা তৈরি হয়েছে। আশা করা যায়, ভবিষ্যতে তাঁদের একটা খুব বড় অংশ অনলাইনের ক্রেতা হিসেবে থাকবেন। তিনি বলেন, ‘সবার তো ক্রেডিট কার্ড নেই। তবে অনেকেরই মুঠোফোনভিত্তিক আর্থিক সেবার (এমএফএস) হিসাব খোলা আছে। আমি দেখছি, এখন আমাদের লেনদেনের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম। এখানে খুব সহজেই যে কোন সময় লেনদেন করা যায়।
২০২১ সালে বৈশ্বিক ই–কমার্স ব্যবসার বাজারের আকার দাঁড়াবে প্রায় চার লাখ কোটি ডলার। সবচেয়ে বড় বাজার চীন। এরপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি।
তিনি আরও বলেন , করোনাকালে যাঁরা একবার অনলাইনের মাধ্যমে কোনো ঝামেলা ছাড়া ঘরে বসেই তাঁদের প্রয়োজনীয় পণ্যটি পেয়েছেন, তাঁরা আবার পণ্য কেনার জন্য অনলাইন মাধ্যমে কেনাকাটা করছেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই খাত আগামী দিনগুলোতে আরও ভালো করবে বলে আশা করা যায়।
দেশের করপোরেটগুলোও বুঝতে পেরেছে যে আগামী দিনগুলোতে অনলাইনভিত্তিক বাজার বড় হবে। এ জন্য তারাও জোর দিচ্ছে অনলাইনভিত্তিক মঞ্চের সঙ্গে যুক্ত হতে। ফলে একটা প্রশ্ন সামনে আসছে যে, বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় বিপুল ব্যয়ে ভবনের স্পেস বা জায়গা ভাড়া নিয়ে দোকান খোলার প্রবণতা কি আগের মতো থাকবে, নাকি সেখান থেকে খরচ কমিয়ে ক্রেতাদের অনলাইনে আরেকটু কম দামে পণ্য সরবরাহ করবে করপোরেটরা। বর্তমানে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাঁদের স্টোরগুলোকে অনলাইন বিক্রির কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত করছেন।
দেশের মানুষ যদি ঘরে বসেই তাদের কাংখিত পণ্যগুলো অনলাইনে কিনতে পারেন, তাহলে বাকি থাকবে কী? সুদিন আসছে কি না, দেখা যাবে আগামী দিনে। মনে রাখতে হবে, অন্য খাত যখন কর্মী ছাঁটাইয়ের চিন্তায়, ই-কমার্স তখন লোক নিয়োগ করছে।
এবি-বাজার ডট নেট দেশব্যাপী ৬৪ জেলায় প্রায় ১,৫০,০০০ জন উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।